Search This Blog

Thursday, July 2, 2015

পুলিশে এসআই পদে নিয়োগ যোগ্যতা

মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়স ৩২ বছর হতে হবে

পুলিশে এসআই পদে নিয়োগ প্রার্থীর যোগ্যতা

প্রার্থীকে অবিবাহিত ও বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। সাধারণ ও অন্যান্য কোটায় প্রার্থীর বয়স মাধ্যমিক বা সমমানের সনদ অনুযায়ী ১ জানুয়ারি ২০১৫ সালে হতে হবে ১৯ বছর থেকে ২৭ বছর। মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়স ৩২ বছর হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সন্তানের ক্ষেত্রে বয়স ২৭ বছরই হতে হবে। বিস্তারিত জানতে বিজ্ঞপ্তিটি নিচের লিংকে পাওয়া যাবে-

পুলিশে এসআই পদে নিয়োগ

শিক্ষাগত ও শারীরিক যোগ্যতা

অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতক পাস ও কম্পিউটারে অভিজ্ঞ হতে হবে। পুরুষ প্রার্থীর ক্ষেত্রে উচ্চতা পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি ও বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি হতে হবে। নারী প্রার্থীর ক্ষেত্রে উচ্চতা হতে হবে পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি। পুরুষ-নারী সবার ক্ষেত্রে উচ্চতা ও বয়সের সঙ্গে ওজন অনুমোদিত পরিমাপক হতে হবে।

কবে কোন পরীক্ষা

প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা হবে ২৭ জুলাই সকাল ৯টায়। ঢাকা রেঞ্জ বা বিভাগের পরীক্ষা হবে উত্তরায় এপিবিএন পুলিশ লাইনস, চট্টগ্রাম বিভাগে সিএমপি পুলিশ লাইনস, রাজশাহীতে রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইনস, রংপুরে রংপুর জেলা পুলিশ লাইনস, খুলনায় আরআরএফ পুলিশ লাইনস, বরিশালে জেলা পুলিশ লাইনস ও সিলেট বিভাগের সিলেট জেলা পুলিশ লাইনসে। প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদন ফরম পূরণ করে নিজ রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে তিন ধাপে। মনস্তত্ত্বের পরীক্ষা হবে ৭ আগস্ট বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। ৮ আগস্ট ইংরেজি, বাংলা রচনা ও কম্পোজিশন এবং ৯ আগস্ট সাধারণ জ্ঞান ও পাটি গণিত পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষার সময় বিকাল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।

http://epaperbangladesh.blogspot.com/

নিয়োগ প্রক্রিয়া

শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মনস্তত্ত্ব ও লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এই দুটি পরীক্ষায় যারা নির্বাচিত হবেন, তারা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন। মৌখিক পরীক্ষায় পাস করলেও সব শেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পুলিশবাহিনীতে চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হবে। রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে এক বছর সফল প্রশিক্ষণ শেষে পুলিশবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন তারা। প্রশিক্ষণকালে থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় খরচ দেয়া হবে। এ ছাড়া প্রতি মাসে ৭০০ টাকা হারে প্রত্যেককে মাসিক ভাতা দেয়া হবে। কাজে যোগ দেয়ার পর একজন এসআই নবম জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ গ্রেড অনুযায়ী বেতন পাবেন ১৬ হাজার ৫৪০ টাকা।

লিখিত পরীক্ষার বিষয়

২২৫ নম্বরের তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৭ আগস্ট বেলা ৩টায় আধাঘণ্টার মনস্তত্ত্ব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৮ আগস্ট বেলা ২টা থেকে ৩ ঘণ্টার ইংরেজি, বাংলা রচনা ও কম্পোজিশনের পরীক্ষা নেয়া হবে। ৯ আগস্ট সাধারণ জ্ঞান ও পাটিগণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সময় মতো মৌখিক পরীক্ষার সময় জানিয়ে দেয়া হবে। মৌখিক পরীক্ষায় পাস করার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় একইভাবে প্রার্থীদের জানানো হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হবে।

প্রথমেই শারীরিক পরীক্ষা :

শারীরিক মাপ পরীক্ষার শুরুতেই বিজ্ঞপ্তির বর্ণনা অনুযায়ী উচ্চতা, বুকের প্রস্থ, বডি মাস ইনডেক্স অনুযায়ী বয়সের সঙ্গে ওজনের সামঞ্জস্য ঠিক আছে কি না দেখা হয়। সব ঠিক থাকলে পরের ধাপে ফিটনেস যাচাই পরীক্ষায় দৌড়, লং জাম্প বা রক ল্যান্ডিংয়ে অংশ নিতে হতে পারে।

শারীরিক মাপ পরীক্ষার সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের দেয়া চারিত্র্যিক সনদের মূলকপি, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়র বা কাউন্সিলরের দেয়া স্থায়ী নাগরিকত্ব সনদের মূলকপি, প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র, না থাকলে বাবা বা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি, প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তার সত্যায়িত সদ্য তোলা তিন কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি, কমপক্ষে তিন সপ্তাহের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সনদের মূলকপি, চাকরিরত প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র, কোটায় আবেদনকারীদের সংশ্লিষ্ট কোটার সনদের মূলকপি ও তা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রত্যয়নপত্র সঙ্গে আনতে হবে।

শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ওই পরীক্ষার দিনই সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কাছ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। ৩০০ টাকা পরীক্ষার ফি যে কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট ডিআইজির কার্যালয়ে ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে হবে। সেখান থেকে পরীক্ষায় স্থান জানিয়ে প্রার্থীদের কাছে লিখিত প্রবেশপত্র সময় মতো পাঠানো হবে। প্রবেশপত্র ছাড়া এই পরীক্ষায় অংশ নেয়া যাবে না।

লিখিত পরীক্ষার নম্বর বণ্টন

এসআই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয় ২৫০ নম্বরের। ইংরেজি, বাংলা রচনা ও কম্পোজিশনে থাকে ১০০ নম্বর, সাধারণ জ্ঞান ও পাটি গণিতে ১০০ নম্বর এবং মনস্তত্ত্বে ২৫ নম্ব^রের পরীক্ষা নেয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট পড়াশোনা :

ইংরেজি, বাংলা রচনা ও কম্পোজিশনে ১০০ নম্বরের মধ্যে ইংরেজিতে ৫০ নম্বর এবং বাকি ৫০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে বাংলা রচনা ও কম্পোজিশনে। ইংরেজি অংশে সাধারণত একটি ১৫ নম্বরের Essa থাকে। Phrase and Idioms দেয়া থাকে। এগুলো দিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি করতে হয়। এখানে সাধারণত ১০ নম্বর থাকে।
ইংরেজিতে একটি Letter লিখতে হয়, এতেও ১০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। আসতে পারে 'Write a letter to your pen-friend about narrating the Liberation War of Bangladesh'. এ ছাড়া ৫ নম্বরের Fill in the blanks থাকে। ১০ নম্বরের Translation থাকে। বাংলা রচনা ও কম্পোজিশন অংশে ১৫ নম্বরের একটি বাংলা রচনা লিখতে হয়। ভাব সম্প্রসারণে থাকে ১০ নম্বর। বাগধারা দিয়ে বাক্য তৈরি করতে বলা হয়, এতে থাকে ১০ নম্বর। এক কথায় প্রকাশেও থাকে ৫ নম্বর। বঙ্গানুবাদে বরাদ্দ থাকে ১০ নম্বর।

গণিত অংশে শুধু পাটি গণিত থেকে প্রশ্ন হয়। প্রশ্ন আসে সরল, শতকরা, লাভ-ক্ষতি, সুদকষা, ঐকিক নিয়ম থেকে।

সাধারণ জ্ঞান অংশে সাধারণত আলোচিত ঘটনা, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের সংবিধান, উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব, উল্লেখযোগ্য স্থাপনা, ঐতিহাসিক স্থান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, রাজনৈতিক ও সাম্প্রতিক বিষয় থেকে প্রশ্ন থাকে। এ অংশে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের পাশাপাশি টিকা ও অনেক ক্ষেত্রে বর্ণনামূলক প্রশ্নও আসে। এ অংশে অনেক সময় বিজ্ঞান সম্পর্কিত প্রশ্নও হয়ে থাকে।

মনস্তত্ত্ব পরীক্ষা

সাদৃশ্য, বৈসাদৃশ্য শব্দ বা সংখ্যা চিহ্নিতকরণ, সমস্যার সমাধান, সম্পর্ক নির্ণয়, গাণিতিক যুক্তি অভীক্ষা, ভারবাল রিজনিং, সাধারণ জ্ঞান (পূর্ণ রূপ, সঠিক উত্তর, সংক্ষিপ্ত টিকা) থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে। এ সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হলে বারবার চর্চা করতে হবে।
source daynik jugantor : 02-07-2015